চলমান লকডাউনেও চকরিয়ায় যথারীতি যানজট, অলিগলিতে জনস্রোত

রাজু দাশ, চকরিয়া •


করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ ভয়বহ আকার ধারণ করায় মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলার জন্য সারাদেশে সার্বাত্মক লকডাউন ঘোষণা করেন সরকার। সরকারের নির্দেশনা অমান্য করে কক্সবাজারের চকরিয়ায় প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে মানুষের ঘর থেকে বের হওয়ার প্রবণতা যেনো কোনোভাবেই থামছে না।

মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) চকরিয়া পৌরশহরে পরিস্থিতি ছিল এমনই। কেউ কেউ স্বাস্থ্যবিধি মেনে বের হলেও অনেকে দেখা গেছে তা অমান্য করতে। যার ফলে লকডাউনে সরকারি নির্দেশনা কঠোরভাবে মানা হচ্ছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকে।

পৌরশহরে সরেজমিনে দেখা গেছে, আইশৃঙ্খলা বাহিনী আগের তুলনায় এখন কিছুটা নমনীয়। সার্বাত্মক লকডাউনে প্রথম দিন বিভিন্ন মোটরযান ও মানুষকে বাইরে বের হওয়ার জন্য পুলিশের জেরার মধ্যে পড়তে হলেও এখন সে রকম খুব একটা দেখা যায়নি। পৌর সদরে সিএনজি অটোরিকশা বিচ্ছিন্নভাবে চলাচলে লকডাউনের মধ্যেও রীতিমতো যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। এ সকল যানবাহনগুলোতেও মানা হচ্ছে না কোনো ধরনের স্বাস্থ্যবিধি। এছাড়া পায়ে হেঁটে চলাচল করছেন বিপুল পরিমাণ মানুষ।

এছাড়া অলি-গলিতে বাড়ছে মানুষের ভিড়। মোড়ে মোড়ে বসে কাঁচাবাজারসহ নিত‌্যপণ‌্যের অস্থায়ী দোকান এলাকা ঘুরে এমন দৃশ‌্য চোখে পড়েছে। কোথাও স্বাস্থ‌্যবিধির বালাই নেই। যে যার যার মতো অবাধে চলাফেরা করছে। মাস্ক নেই। সামাজিক দূরত্বও নেই। অলিগলিতে জটলা পাকিয়ে আড্ডা দিচ্ছেন স্থানীয়রা।

নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধি জানান, ‘লকডাউনে রাস্তায় চলাচলে বিধিনিষেধ থাকলেও বিনা প্রয়োজনেও রাস্তায় বের হচ্ছেন মানুষ। পৌরসদরে শপিং মল ও দোকানপাট বন্ধ থাকলেও। খোলা রয়েছে পাড়া-মহল্লার চায়ের দোকান, কাঁচাবাজার সেখানে বেশিরভাগ মানুষে মানছেন না স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি। এলাকা গুলোতে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে মাস্ক না পরেই কারণে-অকারণে বাড়ি থেকে বের হয়ে আড্ডা দিচ্ছেন।

প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, সর্বাত্মক’ লকডাউন কার্যকর এবং স্বাস্থ্য বিধি বাস্তবায়ন করতে মাঠে রয়েছে প্রশাসন। বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার দায়ে নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে জরিমানা করা হচ্ছে বলে জানান।